হার্ট আইল্যান্ড; নিউ ইয়র্কের একটি দ্বীপ, যা কি না বহু বছর ধরে গোরস্থানের ভূমিকা পালন করে আসছে। মৃত মানুষদের মাঝে যারা এতটাই দরিদ্র যে শেষকৃত্যানুষ্ঠান করার মতো সামর্থ্যটুকুও নেই তাদের চিরনিদ্রার জায়গা হয় এই দ্বীপের মাটি।
হার্ট আইল্যান্ড; নিউ ইয়র্কের একটি দ্বীপ, যা কি না বহু বছর ধরে গোরস্থানের ভূমিকা পালন করে আসছে। মৃত মানুষদের মাঝে যারা এতটাই দরিদ্র যে শেষকৃত্যানুষ্ঠান করার মতো সামর্থ্যটুকুও নেই তাদের চিরনিদ্রার জায়গা হয় এই দ্বীপের মাটি।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাতের পাদদেশে থাকা সবচেয়ে পুরাতন শিলার নাম বিষ্ণু শিলা, যা প্রায় ১.৭ বিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছে। অপরদিকে সবচেয়ে নতুন শিলাগুলো পাওয়া যায় গিরিখাতের চূড়ায়, যেগুলোর বয়স প্রায় ২৭০ মিলিয়ন বছর।
১৯০৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাতটিকে সরকারের আওতাভুক্ত করলেও ১৯১৯ সালে আরেক রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকে জাতীয় পার্কে পরিণত করেন।
গিরিখাতের অপরূপ মোহনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা ছাড়াও ১১টি স্থানীয় গ্রাম, বেশ কিছু জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল, প্রায় ৪,৪৫৯টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ৮টি ঐতিহাসিক স্থান, কলোরাডোর বুকে নৌকা চালনা, গিরিখাতের চূড়ায় নির্মিত স্কাইওয়াক ইত্যাদির টানে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগমে মুখর এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
কলোরাডো নদী যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭টি রাজ্যসহ মেক্সিকোর কয়েক লক্ষ মানুষের পানি সরবরাহের প্রধান উৎস। উষ্ণ আবহাওয়া, তুষারপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া, কৃত্রিম বাঁধের মাধ্যমে পানি নিয়ন্ত্রণ ইতোমধ্যে নদীর পানি প্রবাহ ১৬% হ্রাস করেছে।
১৯০১ সালের দিকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পর্যটনশিল্পে পরিণত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এটি সারাবিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হলে ১৯০৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট গিরিখাতটিকে সরকারের আওতাভুক্ত করেন।
আবিষ্কারের প্রায় ৩০০ বছর পর ১৮৮০ সালে কপার খনির সন্ধানে এসে একদল খনি শ্রমিক গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন অঞ্চলে বসতি গড়ে তোলে। কিন্তু এই গিরিখাতের মতো দুর্লভ প্রাকৃতিক নিদর্শন যেন ধ্বংস না হয়ে যায়, এজন্য ১৮৯৩ সালে সরকারি তত্ত্বাবধানে এখানকার বনজ সম্পদ সংরক্ষণ শুরু হয়।
স্থানীয় আমেরিকানদের বাইরে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাত আবিষ্কার করেন স্প্যানিশ অভিযাত্রিক গার্সিয়া লোপেজ ডি কাদ্রেনাস। ১৫৪০ সালে তিনি প্রথম শ্বেতাঙ্গ হিসেবে এই গিরিখাত আবিষ্কার করেন।
একবিংশ শতাব্দীর তথ্য প্রযুক্তির যুগেও গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে বসবাসরত হাভাসুপাইদের গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। এখনও খচ্চরে চড়ে স্থানীয়রা ডাক বিলির মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে বসবাসরত হাভাসুপাইদের গ্রামকে সুপাই গ্রাম হিসেবে চিনে সবাই। সুপাই গ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।