স্বেদন রোগ আবির্ভাব এর দু’শ বছর পর ‘পিকার্ডি সোয়েট’ নামে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি রোগ ফ্রান্সে মহামারি ঘটিয়েছিল, কিন্তু এই দুই রোগের মধ্যে শক্ত যোগসূত্রতা এখনও প্রমাণিত হয়নি।
স্বেদন রোগ আবির্ভাব এর দু’শ বছর পর ‘পিকার্ডি সোয়েট’ নামে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি রোগ ফ্রান্সে মহামারি ঘটিয়েছিল, কিন্তু এই দুই রোগের মধ্যে শক্ত যোগসূত্রতা এখনও প্রমাণিত হয়নি।
পৃথিবীর বুকে স্বেদন রোগ মহামারি হিসেবে আঘাত হেনেছে মোটে ৫ বার। ১৪৮৫ সালে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের বুকে এই রোগের দেখা মিলে। সর্বশেষ মহামারীর সময়কাল ছিল ১৫৫১ সাল।
১৪৮৫ সালের এক বিভীষিকাময় দিনে লন্ডনের বুকে হানা দেয় এক অদ্ভুত এবং রহস্যময় রোগ। এই রোগের নেই কোনো ভয়ঙ্কর লক্ষণ। মধ্যযুগের অন্যান্য ভয়াবহ কলেরা, প্লেগ, ম্যালেরিয়া, পীতজ্বর, কালাজ্বর, স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির মতো অসহনীয় ক্ষত বা জখম সৃষ্টি হতো না এই রোগে। দেখতে সুস্থ-সবল হাসিখুশি মানুষ এই রোগের কবলে পড়লে ঘণ্টা খানেকের মাথায় মৃত্যুর কোলে ঢলে […]
১৯৯৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই শ্যাভেজ উদ্যোগ দেন সংবিধান পরিবর্তনের। রাষ্ট্রের নাম ‘রিপাবলিক অব ভেনিজুয়েলা’ থেকে করেন ‘বলিভিয়ান রিপাবলিক অভ ভেনিজুয়েলা’। শাসনকাজে সুবিধার জন্য সরকারকে ভাগ করেন পাঁচটি অংশে।
হুগো শ্যাভেজ ক্ষমতার আসার সময়ই আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পায় তেলের দাম, ব্যাপক রাজস্ব আয় পেতে থাকে ভেনিজুয়েলা। শ্যাভেজ এই রাজস্ব আয় দিয়ে শুরু করেন বলিভিয়ান বিপ্লব। সামরিক বাহিনীকে যুক্ত করেন এই কাজে, জনগণের কাছে সামরিক বাহিনীকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন উন্নয়ন আর নিরাপত্তার ধারক হিসেবে।
১৯৯২ সালে বিদ্রোহের কারনে কারাগারে অন্তরীণ হবার দু বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দ্রুতই রাজনৈতিক দল গঠন করেন হুগো শ্যাভেজ। জড়িয়ে পড়েন দেশব্যাপী জনসংযোগে। ফলাফল পান ১৯৯৮ এর নির্বাচনে, ৫৬.২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
পরিবর্তনের স্বপ্ন থেকেই সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবার পর হুগো শ্যাভেজ তৈরি করেন গোপন সংগঠন, MBR-200 নামে। তাদের নিয়ে শ্যাভেজ বিদ্রোহ করেন ১৯৯২ সালে। বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়, তাকে সঙ্গীসহ কারাগারে অন্তরীণ করা হয়। কিন্তু এই ব্যর্থতাই তাকে নায়ক বানিয়ে দেয়। দারিদ্র্য আর বৈষম্যের ভারে ক্লান্ত ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের মধ্যে তিনি দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশনড হয়ে হুগো শ্যাভেজ পড়াশুনা শুরু করেছিলেন ইতিহাস নিয়ে, আকৃষ্ট হন জমুরা, বলিভিয়ার আর রুদ্রিগেজের মতাদর্শের প্রতি। ভেনিজুয়েলাকে বদলে দেওয়ার স্বপ্নটা তখন থেকেই দেখতে শুরু করেন।
সতেরো বছর বয়সে ১৯৭১ সালে হুগো শ্যাভেজ যখন সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেন, মিলিটারি কারিকুলাম ‘আন্দ্রেস বেলো প্ল্যান’ তাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলো