স্বেদন রোগ আবির্ভাব এর দু’শ বছর পর ‘পিকার্ডি সোয়েট’ নামে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি রোগ ফ্রান্সে মহামারি ঘটিয়েছিল, কিন্তু এই দুই রোগের মধ্যে শক্ত যোগসূত্রতা এখনও প্রমাণিত হয়নি।
স্বেদন রোগ আবির্ভাব এর দু’শ বছর পর ‘পিকার্ডি সোয়েট’ নামে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি রোগ ফ্রান্সে মহামারি ঘটিয়েছিল, কিন্তু এই দুই রোগের মধ্যে শক্ত যোগসূত্রতা এখনও প্রমাণিত হয়নি।
পৃথিবীর বুকে স্বেদন রোগ মহামারি হিসেবে আঘাত হেনেছে মোটে ৫ বার। ১৪৮৫ সালে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের বুকে এই রোগের দেখা মিলে। সর্বশেষ মহামারীর সময়কাল ছিল ১৫৫১ সাল।
স্বেদন বালাই রোগ শুরু হতো ঘামের মাধ্যমে। রোগীর দেহ থেকে বিপুল পরিমাণ ঘাম নির্গত হতো এবং দুর্গন্ধ ছড়াত। চেহারার বর্ণ লালচে হতো প্রথমে। সেটা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ত। রোগের বিষ রোগীর সারাদেহে ব্যথার উদ্রেক ঘটাত।
১৪৮৫ সালের এক বিভীষিকাময় দিনে লন্ডনের বুকে হানা দেয় এক অদ্ভুত এবং রহস্যময় রোগ। এই রোগের নেই কোনো ভয়ঙ্কর লক্ষণ। মধ্যযুগের অন্যান্য ভয়াবহ কলেরা, প্লেগ, ম্যালেরিয়া, পীতজ্বর, কালাজ্বর, স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির মতো অসহনীয় ক্ষত বা জখম সৃষ্টি হতো না এই রোগে। দেখতে সুস্থ-সবল হাসিখুশি মানুষ এই রোগের কবলে পড়লে ঘণ্টা খানেকের মাথায় মৃত্যুর কোলে ঢলে […]
সমাধিস্থল ছাড়াও ১৯৬০ ও ‘৭০ এর দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংশোধনী কেন্দ্র, মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র হিসেবে হার্ট আইল্যান্ড ব্যবহৃত হয়।
উনিশ শতকের শেষ দিকে এসে নিউ ইয়র্ক সিটি লুনাটিক অ্যাসাইলামের নারী শাখা হিসেবে হার্ট আইল্যান্ডকে ব্যবহার করেছিল, যদিও কোনো মহিলারই সেখান থেকে সুস্থ হওয়ার খবর মেলেনি। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী- ভর্তি হওয়া নারীদের প্রত্যেকের মানসিক অবস্থা ক্রনিক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।
সমাধিস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পূর্বে হার্ট আইল্যান্ড বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৬৫৪ সালে চিকিৎসক থমাস পেল সেখানকার অধিবাসীদের কাছ থেকে এই দ্বীপটি কিনে নেন একটি আনুষ্ঠানিক সন্ধিপত্রের মাধ্যমে। গৃহযুদ্ধ চলাকালে ইউনাইটেড স্টেটস কালারড ট্রুপসের সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্যও এই দ্বীপটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৯৮০ ও ‘৯০ এর দিকে এইডসে আক্রান্ত অসংখ্য মৃতদেহ এখানেই সমাধিস্থ হয়। তখনকার সমাজে এই রোগকে কেন্দ্র করে প্রচলিত বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কারের দরুন এখানে এইডসে মৃত্যুবরণকারী মানুষের সঠিক সংখ্যাটি কখনোই হিসেব রাখা হয়নি, তবে ধারণা করা হয় সমগ্র পৃথিবীতে হার্ট আইল্যান্ডই সর্বাধিক সংখ্যক এইডস রোগীর সমাধিস্থল।
শত বছরের পুরোনো এই হার্ট আইল্যান্ডের সমাধিস্থলে প্রথম সমাহিত ব্যক্তির নাম লুইসা ভ্যান স্লাইক। ১৮৬৯ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই তিনি যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কোনো পরিবার বা ব্যক্তিই পরিচয়ের কোনো দাবী নিয়ে না আসায় তাকে এখানে কবর দেওয়া হয়।
২০০ বছর ধরে বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হওয়ার পর ১৮৬৮ সালে নিউ ইয়র্ক শহর হার্ট আইল্যান্ড দ্বীপটিকে কিনে নেয়। এর পরের বছর ৪৫ একর জমি আলাদাভাবে সমাধিস্থল হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।